জেনারেলঃ
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলর করার সুযোগ আছে কি?
উঃ জ্বি জার্মানিতে ব্যাচেলর করার সুযোগ আছে।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলর নাকি মাস্টার্সে যাওয়া উত্তম?
উঃ অবশ্যই মাস্টার্সে আসা উচিত।
প্রশ্নঃ আমি বাংলাদেশে ব্যাচেলর শেষ করেছি, এখন আবার ব্যাচেলর করতে চাচ্ছি জার্মানিতে গিয়ে। আপনাদের পরামর্শ কি এক্ষেত্রে?
উঃ এইটা খুবই বোকামো। জার্মানিতে ব্যাচেলরে আসা ঠিকনা।
প্রশ্নঃ আমি কি ব্যাচেলর করার পর জার্মানিতে মাস্টার্স করতে পারবো?
উঃ জ্বি পারবেন। তবে অবশ্যই ভাল রেসাল্ট করতে হবে মাস্টার্সে চান্স পেতে যা খুব সহজ কাজ না।
যোগ্যতাঃ
প্রশ্নঃ আমার কি কি যোগ্যতা লাগবে?
উঃ সরাসরি ভর্তি
· বাংলাদেশের যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় কমপক্ষে ১ বছর সম্পন্ন করা থাকতে হবে।
· IELTS অন্তত ৬.৫ থাকতে হবে। ৬ হলেও আবেদন করতে পারবেন কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
· অথবা TOEFL (paper-based test)-এ অন্তত ৫৫০ থাকতে হবে।
ল্যাঙ্গুয়েজ ভিসা
· বাংলাদেশ থেকে বি১ সম্পন্ন করে ল্যাঙ্গুয়েজ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আমি সদ্য এইচ এস সি পাশ করেছি, আমি কি জার্মানিতে ব্যাচেলর করতে পারবো?
উঃ না পারবেননা। ল্যাঙ্গুয়েজ ভিসায় আসতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল বি১/বি২ কমপ্লিট করে বাকি লেভেল জার্মানিতে আসে সম্পন্ন করে এরপর ব্যাচেলরে ভর্তি হতে হবে।
প্রশ্নঃ আমি ডিপ্লোমা পাশ, আমি কি ব্যাচেলরে আবেদন করতে পারবো?
উঃ না পারবেননা।
প্রশ্নঃডিপ্লোমা করে কি জার্মানিতে মাস্টার্স করা যাবে?
উঃ না করা যাবেনা।
প্রশ্নঃ আমি বাংলাদেশে ডিপ্লোমা করে ইন্ডিয়াতে আবারো ডিপ্লোমা করেছি, আমি কি ব্যাচেলর করতে পারবো জার্মানিতে?
উঃ না করতে পারবেননা।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলর করতে হলে কি জার্মান ভাষা বাধ্যতামূলক?
উঃ আপনি যদি জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে না আসেন তাহলে জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ বাধ্যতামূলক না।
প্রশ্নঃ আমি মেরিন থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছি, আমি কি আবেদন করতে পারবো?
উঃ সরাসরি ব্যাচেলরে আবেদন করতে পারবেননা।
প্রশ্নঃ আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছর শেষ করেছি, আমি কি আবেদন করতে পারবো ব্যাচেলরে?
উঃ জ্বি করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আমি কি কি উপায়ে জার্মানিতে ব্যাচলের করতে পারবো?
উঃ আপনি ২ উপায়ে ব্যাচেলরে আসতে পারবেন জার্মানিতে।
১। ল্যাঙ্গুয়েজ ভিসায়- বাংলাদেশে বি১/বি২ করে এরপর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। জার্মানিতে আসে সি২ পর্যন্ত শেষ করে এরপর Studientkolleg করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলরে ভর্তি হতে পারেন।
২। বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ বছর ব্যাচেলর শেষ করে এরপর IELTS করে জার্মানিতে নতুন করে ব্যাচেলর করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার IELTS স্কোর ৬ এর নিচে, আমি কি আবেদন করতে পারবো?
উঃ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। কারণ জার্মানিতে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS মিনিমাম ৬ চায়। বাই চান্স যদি ৬ এর কম দিয়ে অফার লেটার পেয়েও যান তাহলে ভিসা সাক্ষাৎকারে আপনাকে আবার IELTS দিতে বলবে।
প্রশ্নঃ আমি IELTS দেয়নি, মিডিয়াম অফ ইনস্ট্রাকশন দিয়ে কি আবেদন করতে পারবো?
উঃ আবেদন করতে পারবেন। অফার লেটার পাবেন কিনা সন্দেহ আছে। অফার লেটার পেলেও ভিসা পাবেন কিনা বলা মুশকিল।
প্রশ্নঃ আমার লম্বা স্টাডি গ্যাপ আছে, আমি কি আবেদন করতে পারবো?
উঃ জ্বি আবেদন করতে পারবেন। তবে ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় আপনাকে স্টাডি গ্যাপের বিষয়ে যুক্তিসংগত উত্তর দিতে হবে।
আবেদনঃ
প্রশ্নঃ কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
উঃ
• এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এর সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
• পাসপোর্টের ফটোকপি
• IELTS/ TOEFL সার্টিফিকেট
• CV
• মোটিভেশন লেটার
বিঃদ্রঃ সকল ফটোকপি সত্যায়িত করা থাকতে হবে(নোটারী পাবলিক/এম্বেসী কর্তৃক সত্যায়িত)।
প্রশ্নঃ কোন কোন বিষয়ে ব্যাচেলর করতে পারবো?
উঃ আপনি জার্মানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, লাইফ সাইন্সেস, পিউর সাবজেক্ট, ফার্মেসি, টেক্সটাইল সহ অনেক বিষয়ে ব্যাচেলর করতে পারবেন।
প্রশ্নঃব্যাচেলরে কোন বিষয়ে আবেদন করবো?
উঃ আপনি বাংলাদেশে যে বিষয়ে ব্যাচেলর করছেন সেই রিলেটেড বিষয়ে আবেদন করবেন। তা না হলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলরের সেশন কয়টি ও কখন?
উঃ জার্মানিতে সেশন ২টি। সামার এবং উইন্টার সেশন।
সামারঃ আবেদন- অক্টোবর থেকে জানুয়ারি ১৫। ক্লাস শুরু মার্চ থেকে।
উইন্টারঃ আবেদন- ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই ১৫। ক্লাস শুরু সেপ্টেম্বর থেকে।
প্রশ্নঃ আমি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুজে পাবো ব্যাচেলরের জন্য?
উঃ আপনি খুব সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় খুজে পাবেন নিচের ওয়েবসাইট থেকে-
https://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programmes/en/
উক্ত লিঙ্কে গিয়ে বাম পাশে আপনি ব্যাচেলর/ মাস্টার্স/ পিএইচডি সিলেক্ট করবেন এবং কোন বিষয়ে ব্যাচেলর করবেন সেটাও সিলেক্ট করে দিবেন। আপনি যদি পুরোপুরি ইংলিশ এ কোর্স খুঁজেন তাহলে সেটা সিলেক্ট করে দিন এবং টিউশন ফিও সিলেক্ট করে দিতে পারেন।
প্রশ্নঃ আবেদন কিভাবে করবো?
উঃ https://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programmes/en/
লিঙ্কে গিয়ে নির্দিষ্ট কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করার পর সেই কোর্সের Overview এর নিচে ডান দিকে আবেদন কোন প্রক্রিয়ায় করতে হবে সেটা লিখা থাকে। যদি লিখা থাকে uni-assist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে তাহলে প্রথমে uni-assist এ আইডি খুলতে হবে। এরপর uni-assist এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দিয়ে আবেদন করার লিঙ্ক দেয়া থাকে তাহলে সরাসরি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত খুব সহজ হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ অফার লেটার পেতে কতদিন সময় লাগে?
উঃ সাধারণত আবেদন করার ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে অফার লেটার দিয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ অফার লেটার কিভাবে পাবো?
উঃ ইমেইলের মাধ্যমে পাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাকযোগে সরাসরি অফার লেটার পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান পড়ছি, আমি কি জার্মানিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ আবেদন করতে পারবো?
উঃ সম্ভাবনা খুবই কম।
খরচঃ
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলর করতে কত টাকা লাগে?
উঃ জার্মানিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন টিউশন ফি নেই। আপনাকে শুধু থাকা খাওয়ার টাকা যোগাড় করতে হবে।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে ব্যাচেলরে যেতে সর্বমোট কত টাকা খরচ হবে?
উঃ আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে জার্মানিতে আসা পর্যন্ত আপনার প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা লাগবে ব্লকড একাউন্ট সহ।উল্লেখ্য ব্লকড একাউন্টের টাকা ফেরত পাবেন।
প্রশ্নঃ আবেদন করতে কত টাকা লাগবে?
উঃ আপনি যদি uni-assist এর মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে প্রথম আবেদনের জন্য ৭৫ ইউরো এবং পরবর্তী প্রতিটি আবেদনের জন্য ১৫ ইউরো করে দিতে হয়। তবে আপনি যদি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক কোর্সে আবেদন করেন তাহলে আপনাকে এক্সট্রা কোন টাকা দিতে হবেনা। ধরেন আপনি Rhine-Waal University of Applied Sciences এর Bioengineering এ প্রথম আবেদন করলেন। যদি এটাই আপনার প্রথম আবেদন হয়ে থাকে তাহলে এই কোর্সের আবেদনের জন্য দিতে হবে ৭৫ ইউরো। এরপর প্রতিটি কোর্সে আবেদনের জন্য ৩০ ইউরো করে দিতে হবে।
আর যদি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার অপশন থাকে সেক্ষেত্রে কোন ফি দিতে হয়না।
প্রশ্নঃ আবেদন ফি কিভাবে পাঠাবো?
উঃ আবেদন ফি মূলত মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে দিতে পারেন। আরেকটা ভাল উপায় হতে পারে জার্মানিতে কারো মাধ্যমে পে করা। মনে করেন কেউ বাংলাদেশে টাকা পাঠাবে, আপনি উনাকে বললেন উনি যেন আপনার uni-assist এর ফি জমা দিয়ে দেন, আপনি উনাকে দেশে যার কাছে টাকা পাঠাতে চাচ্ছিলেন উনার একাউন্টে দিয়ে দিলেন।
প্রশ্নঃ ডকুমেন্টস কিভাবে পাঠাবো?
উঃ যেকোন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পাঠাতে পারেন।
প্রশ্নঃ ডকুমেন্টস পাঠাতে কত টাকা লাগবে?
উঃ ১০০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা লাগবে।
প্রশ্নঃ আমি কি পার্ট টাইম জব করতে পারবো?
উঃ জ্বি করতে পারবেন। তবে ব্যাচেলরে সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাস থাকে। মাঝে মাঝে ছুটির দিন শনি, রবিবার ক্লাস থাকে। তাই ব্যাচেলরে জব করাটা কঠিন হয়।
প্রশ্নঃব্যাচেলর থাকাকালীন আমি কত টাকা উপার্জন করতে পারবো?
উঃ থাকা খাওয়ার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে যদি চিন্তা করেন টাকা জমাবেন বা দেশে পাঠাবেন তাহলে সেই সুযোগ খুবই কম পাবেন। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাস থাকে। মাঝে মাঝে শনি রবিবারও ক্লাস থাকে।
প্রশ্নঃ আমি কি ব্যাচেলরে স্কলারশীপ পাবো?
উঃ আপনি যদি প্রথম কয়েক সেমিস্টারে ভাল রেসাল্ট করতে পারেন তাহলে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে ঐসব স্কলারশিপে টাকার পরিমান খুবই কম। ২০০-৩৫০ ইউরো।
জিজ্ঞাসাঃ
প্রশ্নঃ আবেদনের ক্ষেত্রে কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে সমাধান কিভাবে পাবো?
উঃ অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমাদের গ্রুপ আপনাদের জন্য উন্মুক্ত। যেকোন সমস্যায় আমরা আপনাদের পাশে আছি।
প্রশ্নঃ আপনাদের সাহায্য নিতে হলে আপনাদেরকে কত টাকা দিতে হবে?
উঃ কোন টাকা লাগবেনা। আমরা চাই আমাদের বাংলাদেশি ভাইয়েরা এখানে এসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে দেশের সেবা করবে।
প্রশ্নঃ আমি কি কোন এজেন্সির সহযোগীতা নিবো?
উঃ ভুলেও সেই পথে পা দিবেননা। কোন এজেন্সি আপনাকে জার্মান ভিসা বা জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারবেনা।
ফ্যামিলিঃ
প্রশ্নঃ আমি কি আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচা-চাচি, খালা-খালুকে জার্মানিতে আনতে পারবো?
উঃ থিউরিটিকেলি আনতে পারবেন(ভিসিট ভিসায়), প্র্যাকটিকেলি পারবেননা।
প্রশ্নঃ আমি কি স্ত্রীকে আনতে পারবো ব্যাচেলর করা কালীন সময়ে?
উঃ জ্বি আনতে পারবেন। তবে আপনাকে দেখাতে হবে যে আপনি ইকোনমিকেলি সলভেন্ট।
